আসাদুজ্জামান সম্রাট: নানা রেকর্ড গড়ে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৪ এপ্রিল বিকেলে বঙ্গভবন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। নিরাপত্তার কারণে তিনি সেনানিবাস এলাকায় তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় উঠবেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্য কোথায় উঠবেন তা-ও চূড়ান্ত হয়েছে। 

সংবিধান অনুযায়ী আবদুল হামিদের আবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে ২৪ এপ্রিলের মধ্যেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি শপথ নিবেন। আবদুল হামিদ রাজনীতিতে নিজের পরিচ্ছন্ন ক্যারিয়ারের মতো মেয়াদের একদিন বেশি সময়ও থাকতে চান না রাষ্ট্রপতির জন্য নির্ধারিত বঙ্গভবনে।

পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে তিনি নিকুঞ্জে তার বাড়ি প্রেসিডেন্ট হাউসে উঠতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালীন বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হওয়ায় তার নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে- এই বিবেচনায় সুরক্ষিত কোন এলাকায় বসবাসের পরামর্শ দেয়া হয়। এরপরই তিনি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় ওঠার সিদ্ধান্ত নেন।

পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে বড়ো ছেলে ইঞ্জিনিয়ার রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক এমপি বেইলী রোড়ে রূপায়নের একটি ফ্ল্যাটে উঠবেন। অন্য দুই ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন ও রিয়াদ আহমেদ তুষার উঠবেন নিকুঞ্জের বাড়িতে। একমাত্র মেয়ে স্বর্ণা হামিদ উঠবেন লালমাটিয়া এলাকার লাকি এপার্টমেন্টে। নবম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি লালমাটিয়ার এই এপার্টমেন্টে বসবাস করতেন। স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পরেও তিনি এখানে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে নিরাপত্তা ইস্যুতে তাকে অনেকটা জোর করেই সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকারস হাউসে ওঠানো হয়।

প্রসঙ্গত: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ১৯ মেয়াদে এ পর্যন্ত ১৭ জন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সে হিসাবে আবদুল হামিদ এই পদে সপ্তদশ ব্যক্তি। তবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদ পূরণ করেছেন কেবল আবদুল হামিদই। সময়ের হিসেবে তিনি দেশের দীর্ঘকালীন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব